লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর পাড়ে চর গোবর্ধান। গেল বছর এই চরে স্থানীয় কৃষকরা সবজিসহ নানা ফসল চাষাবাদ করেছিলেন। কিন্তু এ বছর কোন ফসল চাষাবাদ করতে পারছেন না তারা। কারণ এই চর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
চরের কৃষকদের অভিযোগ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির ব্যক্তিগত সহকারী সচিব (এপিএস) মিজানুর রহমান মিজানের বাড়ি চর গোবর্ধান এলাকায়। তার নেতৃত্বে চর থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এখন এসব বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে বালু ব্যবসায় প্রায় কোটি টাকার বাণিজ্য রয়েছে। মন্ত্রীর এপিএস মিজানের পক্ষে তার ছোট ভাই আদিতমারী এসিল্যান্ড অফিসের অফিস সহায়ক এরশাদ হোসেন বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছেন।
চরবাসি অভিযোগ করে বলেন, তারা হামলা-মামলার ভয়ে প্রকাশ্যে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। গেল বছর চরে ফসল চাষাবাদ করে আশানুরুপ ফসল পেয়েছিলেন। এ বছর এই চরে কোন ফসল চাষাবাদ করতে পারেননি। অবৈধ বালু ব্যবসা করে একটি চক্র লাভবান হলেও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন চরের কৃষকরা। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারী ক্ষমতাধর হওয়ায় প্রশাসনও নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি, আর সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, গোবর্ধান এলাকায় তিস্তা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।